1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজার ২ কুলাউড়া-: ত্রিখন্ডিত নৌকায় হাসছে সোনালী আঁশ

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৪ বার পঠিত

কুলাউড়া প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার চারটি আসনের মধ্যে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা চলছে মৌলভীবাজার-০২ কুলাউড়া আসনে। বাকি তিনটি আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মোকাবেলা করার মতো শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় চলছেন নিয়ম রক্ষার প্রচারণা। নৌকার প্রার্থীরা রয়েছেন আনুষ্ঠানিক ‘নির্বাচিত’ ঘোষণার অপেক্ষায়। বলা যায় এই আসনে ২ বিদ্রোহীসহ ত্রিখন্ডিত নৌকায় হাসছে সোনালী আঁশ।

একমাত্র নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে রয়েছেন চ্যালেঞ্জের মুখে। তাঁর সাথে আরও দুই আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন (কাঁচি) ও পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান (ট্রাক) স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নৌকার মাঝি। এই অবস্থায় চা বাগান অধ্যূষিত আসনটিতে ত্রিখÐিত হয়ে পড়েছে নৌকার ভোট। তৃণমুল পর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দুই নেতাই স্থানীয় সরকার প্রশাসনে একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে তাদের রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক। তাদের বিপরীতে নাদেল নির্বাচনী মাঠে একবারে নতুন। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ কাজ করছে নৌকার বিপক্ষে। নৌকার ভোট ত্রিখÐিত হওয়ার সুযোগে হাসছে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এমএম শাহীনের সোনালী আঁশ। তাঁর কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী লীগের বিভাজনকে কাজে লাগিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর আহমদকে (নৌকা) ৬৮৬৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীন ফুটবল নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। যা এবারও জয়ের ব্যাপারে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে তাঁর কর্মী- সমর্থকদের। যদিও গত নির্বাচনে মহাজোটের শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর আহমদের (ধানের শীষ) কাছে পরাজিত হন তিনি। এলাকার বর্তমান সাংসদ সুলতান মনসুর এবার নির্বাচন করছেন না।

এ আসনে অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন ইসলামী ফ্রন্টের এনামুল হক মাহতাব (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোসাইন রাহমানী (মিনার), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল মালেক (লাঙ্গল) ও বিকল্পধারার কামরুজ্জামান সিমু (কুলা)।

এ আসনে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও মুল প্রতিদ্ব›দ্বীতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, তৃণমূল বিএনপির এমএম শাহীন ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান।

গত কয়েক দিন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, চা স্টল থেকে শুরু করে সর্বত্র ভোটারদের আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন এই তিন প্রার্থী।

ভোটারদের মতে এই তিন প্রার্থীর মধ্যেই একজন নির্বাচিত হবেন। মুল লড়াইয়ে থাকা প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকরা বিজয়ী হতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। স্থানীয় হাটবাজারে করছেন গণসংযোগ, পথসভা ও সমাবেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক প্রচারণা। একে অন্যকে গায়েল করতে লিপ্ত হচ্ছেন বাকযুদ্ধে। বাকযুদ্ধে লিপ্ত হওয়া প্রার্থীদের ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত ভোটযুদ্ধে কে হাসেন শেষ হাসি তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভোট গ্রহণ শেষে।

উল্লেখ্য ১৩ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে আসনে ১০৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৫ হাজার ২১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৯ ও মহিলা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৩ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৩টি।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..